চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ভূমিকম্প নেপাল, ভুটান, ভারত এবং বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে (ডিডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে চীনে বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। চীনের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিব্বতের শিগাৎসে শহর এবং এর আশেপাশে এলাকায় ৫৩ জন নিহত হয়েছে। অনেককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে
কাঠমান্ডুর জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ৭ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়।
আন্তর্জাতিক মিডিয়া অনুসারে, ভূমিকম্পটি রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দিশমিক ৯ মাত্রায়। রয়টার্স চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে।
শক্তিশা্লী এ ভূমিকম্পের পর প্রায় ৪০টি আফটার শক হয়। প্রথম আফটার শক হয় ৭টা ১৩ মিনিটে, যার মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। এরপর ৭টা ২৪ মিনিটে ৫ মাত্রার, ৭টা ৩২ মিনিটে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার, ৭টা ৩৭ মিনিটে ৪ দশমিক ৯ মাত্রার, ৭টা ৪৩ মিনিটে ৪ দশমিক ৯ মাত্রার এবং ৮টা ৩৪ মিনিটে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার আফটার শক হয়। এরপরে আরও অনেকগুলি আফটার শক হয়। প্রথম দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে মাটি থেকে ১০কিলোমিটার গভীরে। তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চীনের জিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল)। অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।