আওয়ামী লীগ নেতারা এখন জামায়াতপন্থী বলে অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লার তিতাসে কর্মী সম্মেলন ঘিরে ব্যানার-পোস্টার ছাপিয়েছেন ৭ জন। তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদেও ছিলেন। যদিও জামায়াতের দাবি,তাদের আদর্শেই বিশ্বাসী সবাই। এটিকে বর্ণচোরা রাজনীতি হিসেবে দেখছে সচেতন মহল।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মো. আবু হানিফ নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জামায়াতে ইসলামীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আবু হানিফ আগে মজিদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন পরিষদের ওই ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি মজিদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন এবং দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন।
হানিফের মত ওমর ফারুক, শামীম খান, আবুল কালামসহ আরো ৭ জন ভিন্ন রুপে। অথচ তাদেরকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবেই জানতেন এলাকাবাসী। ছিল পদ-পদবীও। স্থানীয় জামায়াত নেতাদের দাবি, আগে থেকেই তাদের আদর্শে বিশ্বাসে ছিলেন তারা। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এতদিন আড়ালে ছিলেন সবাই।
বিষয়টিকে বর্ণচোরা রাজনীতি হিসেবে ব্যাখা করছেন সচেতনরা। সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, বৈরি এবং অনুকূল যেকোনো সময়েই আদর্শের রাজনীতি করা উচিত। এরকম না করলে প্রকৃত অর্থে জনগণের কাছে তাদের বার্তা এবং আদর্শের জায়গা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
সূত্র: যমুনা টিভি
ভিডিও লিংক:https://www.youtube.com/watch?v=W-sK_e9m68k