সীমান্তে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করছে ভারত!

চীনের সঙ্গে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর মোতায়েনকৃত সেনাদের সংখ্যা কমানো হবে না বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে এখনও “একটি অচলাবস্থা” বজায় রয়েছে এবং উত্তেজনা কমাতে বিশ্বাস পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।

সেনাপ্রধান জানান, পাকিস্তান এখনো সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করছে। জম্মু-কাশ্মীরে গত বছর নিহত সন্ত্রাসীদের ৬০% পাকিস্তানি এবং সক্রিয় সন্ত্রাসীদের ৮০% পাকিস্তানের বাসিন্দা।

সেনা দিবসের আগে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, চীনের সঙ্গে ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলএসি বরাবর পরিস্থিতি “স্থিতিশীল কিন্তু সংবেদনশীল”। প্রায় পাঁচ বছর ধরে দুই দেশের সেনারা ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন রয়েছে।

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “ভারতের কৌশলগত ধৈর্য যথেষ্ট রয়েছে।” চীনের সঙ্গে সামরিক অচলাবস্থা সমাধানে সেনা মোতায়েনের অবস্থান “ভারসাম্যপূর্ণ এবং শক্তিশালী”। তিনি স্পষ্ট করেন, শীতকালে সেনা সংখ্যা কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। গ্রীষ্মকালে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত চীনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া হবে।

২০২০ সালের এপ্রিলে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) পূর্ব লাদাখে একাধিকবার অনুপ্রবেশ করে। তারপর থেকে উভয় পক্ষই সীমান্তে স্থাপনা তৈরি ও সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করেছে। সেনাপ্রধান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যেখানে অচলাবস্থা রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাস পুনর্গঠনের জন্য নতুন সংজ্ঞা প্রয়োজন। আমাদের একসঙ্গে বসে বৃহত্তর বোঝাপড়ায় আসা জরুরি।”

জেনারেল দ্বিবেদী আরও বলেন, পূর্ব লাদাখের কিছু অঞ্চলে তৈরি করা “বাফার জোন” একটি সাময়িক ব্যবস্থার অংশ, যেখানে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছিল যাতে সংঘর্ষের ঝুঁকি কমানো যায়।

সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভবিষ্যতে কূটনৈতিক এবং বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার দিকে নজর রাখা হবে বলে জানান তিনি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

About admin

Check Also

চরম দু:সংবাদ, ভিসা বন্ধ করল….

শুক্রবার আইআরসিসি জানায়, ২০২৪ সালের পিজিপি প্রোগ্রামের আওতায় পূর্বে জমা দেওয়া আবেদনগুলোই কেবল প্রক্রিয়াকরণে রাখা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *